তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিদিন :
সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক যাত্রা একইসঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল আজ। সোমবার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ই-গভর্নমেন্ট লিডারশিপ সেন্টারে ‘ডেভেলপিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট স্ট্র্যাটেজিস : অ্যান ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অন ই-গভর্নেন্স’ শীর্ষক কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
মাননীয় স্পিকার বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রেখে ডিজিটাল রূপান্তরে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অনন্য। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলেন। বঙ্গবন্ধুর ভিশন বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ অনেক আগেই স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত হতো। ড. শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ডিজিটাল রূপান্তরের রূপকার। বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান, গণযোগাযোগসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী প্রযুক্তিসমূহ জনগণের জীবনযাত্রায় প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে ইন্টারনেট, ওয়াইফাই, আইসিটির ব্যবহার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন উদ্ভাবন নাগরিক সমস্যা সমাধানের পথ স্বচ্ছ ও সহজতর করছে। ডিজিটালাইজেশন তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ প্রক্রিয়া সংসদ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংসদে ই-গর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলেও জানান ।
মাননীয় স্পিকার এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের প্রশংসা করেন। কর্মশালাটি ই-গভর্নমেন্ট লিডারশিপ সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের বাস্তব ধারনা দিবে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমকে আরো ত্বরান্বিত করবে। কর্মশালাটি সিঙ্গাপুরকে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে স্মার্ট রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনের সাথে অংশগ্রহণকারীদের পরিচিত করার সুযোগে করে দিবে। উক্ত অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের চেয়ারম্যান গোপিনাথ পিল্লাই, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য ই-গভর্নমেন্ট লিডারশিপ সেন্টার, এনইউএসের ডিরেক্টর অশোক কুমার প্রদান করেন।
সূত্রঃ মানবকন্ঠ

