ঢাকাThursday , 15 August 2019
  1. Engineering
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া ও দূর্যোগ
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন
  9. কবিতা
  10. কুরআন/সূরা
  11. কৃষি
  12. কোভিড-১৯
  13. খেলাধুলা
  14. গনমাধ্যম
  15. জব
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শোক দিবস : স্মৃতিতে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট

bd-tjprotidin
August 15, 2019 4:06 am
Link Copied!

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিদিন : বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ।
ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা। সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো সভ্যতার উৎকৃষ্টতা কালের বিবর্তনে সারাবিশ্বে সুনামের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছিল। এর সংস্কৃতি, সম্পদ, শিল্প, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবই ছিল উচ্চমানের। সেজন্য বিভিন্ন সময়ে এ ভূমিবাণিজ্যের উৎকৃষ্ট স্থান হয়েছিল। বিভিন্ন আগ্রাসী শক্তি বারবার এ ভূমির সম্পদ লুণ্ঠনে ও ক্ষমতা দখলে তৎপর হয়েছে এবং ফলস্বরূপ শোষণও করেছে বিভিন্ন সময়ে। শেষ দুটি শোষক গোষ্ঠী ছিল পাকিস্তান ও ইংরেজ।

এ বাংলার বহু সন্তান ও রাজনীতিবিদ শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, জীবন দিয়েছেন, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে এ ভূমিকে রক্ষা করার জন্য। সর্বশেষ পাকিস্তানিরা যখন নানা কায়দায় পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলাকে শোষণ করছিল, তখনই এক ত্রাণকর্তার জš§ হয় এ বঙ্গে। এদেশের জনগণের মায়ের ভাষা বাংলাকে হরণ করা, এদেশের সম্পদ নানা উপায়ে লুণ্ঠন করা, জনগণের অধিকার হরণ করা, চাকরির ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা, বাঙালিদের নানাভাবে অবদমিত করে পরাধীন এক জাতিতে পরিণত করার কাজে যখন পাকিস্তানিরা লিপ্ত ছিল ঠিক তখনই সে ত্রাণকর্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি জেগে ওঠে এবং মহাসংগ্রামের শুরু হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের ১১ দফার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এ সবই বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও নির্দেশনায় পরিচালিত হয়। ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় কোটি কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নয় মাসে দেশকে স্বাধীন করেন। এ ঘটনা বিরল। পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর সমতুল্য আর কোনো নেতা নেই যার ত্যাগ ও সাহস বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করা যায়। সেজন্য তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি মৃত্যুর মুখ থেকে পাকিস্তান হতে ফিরে এসে দেশকে গড়ে তুলেছিলেন এক ধ্বংসস্তূপ থেকে কিন্তু এদেশের বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী, নিমকহারাম ও পাকিস্তানপন্থি ব্যক্তিরা আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের ১৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কিত করেছিলো।

সেই ১৯৭৫ সাল। এইচএসসি পাস করে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। থাকতাম মানিকগঞ্জে মহকুমা পশুপালন কর্মকর্তা কাকা ডা. মিনহাজ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। দিনটি ছিল শুক্রবার। ১৫ আগস্ট। খুব ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখলাম কাকার বিষণ মুখ, প্রিয়জন হারানোর বেদনায় বিমর্ষ, তিনি কাঁদছেন আর রেডিওর সংবাদ শুনছেন। রেডিওতে ততক্ষণে মেজর ডালিমের কণ্ঠস্বর ভেসে আসছে: ‘আমি মেজর ডালিম বলছি শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে! বলে কী? এ-ও হতে পারে? পাকিস্তানি জালেমরা অনেক ষড়যন্ত্র করে, বিচারের নামে প্রহসন করে যাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করতে চেয়ে সফল হতে পারেনি, তাঁরই স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে এটা বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শত্রুরা কোনো গোপন বেতার থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। হ্যাঁ, প্রথম যখন শুনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার কথা তখন প্রাথমিকভাবে আমার মতো অনেকের এরকমই মনে হয়েছিল। কারণ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর ছিল অবিশ্বাস্য। আকাশ ভেঙে মাটিতে পড়তে পারে কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কীভাবে সম্ভব হতে পারে!

মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের সময় আমি দেখেছি সংগ্রাম, দেখেছি হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ, মনে আছে বাড়ি ছেড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের সঙ্গে থাকার দিনগুলোর কথা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কত মিছিল, কত মিটিং। ১৯৭১ সালে ছোট-বড় সবাই দেখেছে শেখ মুজিব আর নৌকার জয়জয়কার। এছাড়াও শুনেছিলাম বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে স্লোগান দিয়ে বড়দের কণ্ঠে কণ্ঠ মেলাতাম, মিছিল করতাম। আগস্ট ট্র্যাজেডির সকাল বেলা বাড়িভরা মানুষ আর ভয় ভয় চোখে সবার চোখে জল দেখে নিজেও উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে মানুষ ছিল বিপন্ন ভারাক্রান্ত জনক হারানোর শোকের মাতমে স্তম্ভিত।

পনেরোই আগস্ট ছিল আমাদের জাতির জন্য সত্যিই একটি বিয়োগান্তক ঘটনা। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আমাদের স্বাধীনতার বিজয়ের মূলে আঘাত করা হয়েছিল। একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রত্যক্ষ সহযোগী হিসেবে এ মৃত্যুকে কোনোভাবে মেনে নিতে পারছিলাম না। মানসিকভাবে আর একটা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে লাগলাম। কোথাও কোথাও বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ হলেও তা আর বেশি দূর যেতে পারেনি। শেষ ভরসা ছিল সাভার রক্ষী বাহিনীর ক্যাম্প কিন্তু বিদ্রোহীদের অনুগতরা সাভার ক্যান্টনমেন্ট থেকে গিয়ে রক্ষী বাহিনীর সেনাদের অবরোধ করে ফেলেছিল। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে কেউ মেরে ফেলতে পারে সেটা যেমন ছিল ভাবনার বাইরে, তেমনি তাকে হত্যা করলে কী করণীয় সেটাও যেন কারো ভাবনার মধ্যেই নেই। সেদিন আশা করেছিলাম অনেক নেতা প্রতিবাদ করবেন কিন্তু ঘটনা ঘটল তার উল্টো। জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এএইচএম কামরুজ্জামান এবং তোফায়েল আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক ছাড়া অনেকেই মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছিলেন। আসলেই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে পাকিস্তানি মূল্যবোধ সম্পৃক্ত একটি দেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশবিশেষ। ১৫ আগস্টের পরপরই স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ওপর, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ আর সংখ্যালঘুদের ওপর। নির্বিচারে হত্যা-ধর্ষণ-সংখ্যালঘু নির্যাতন শুরু হয় চোখের পলকে। বুঝে ওঠার আগেই প্রশাসনের সব ক্ষেত্র বদলে যায়। পাকিস্তানপন্থিরা শুরু করে স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের ওপর নির্মম অত্যাচার।

নিজের অজান্তেই সেই ১৫ আগস্টের ইতিহাসের ভয়াবহ কলঙ্কিত সেই ভোর আমার বিবেককে দংশিত করেছিল, আমার যৌবনের দুঃসহ স্মৃতি আমাকে পীড়িত করে আমার মনে যে ক্ষত হয়েছিল তা থেকেই আমাকে ধাবিত করেছিল সেদিনের সেই শোককে শক্তি হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ফলে ক্রমান্বয়ে সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুপ্রেমিক হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে শিক্ষক রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলার কারণে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। নানা অত্যাচার-হয়রানির শিকার হয়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিন্দু পরিমাণ বিচ্যুত হইনি।

দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্নক্ত করা হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর আদালত বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় ঘোষণা করে ১৫ জন সাবেক সেনা সদস্যের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল উচ্চ আদালত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাঁচ বছরেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের আপিল শুনানির ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৬ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা আদালতে ওঠে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হলে সেই চূড়ান্ত বিচারের কাজটি শুরু হয়। বিচার শেষে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কারাগারে আটক ৫ খুনি লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ, লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা এবং মেজর (অব.) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। আর যাদের এখনো ফাঁসি কার্যকর হয়নি তাদের দেশে ফেরত এনে অবিলম্বে রায় কার্যকর এই সরকারকেই করতে হবে। তা না হলে এ নিয়ে আর একটি ইনডেমনিটি হতে পারে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা ওদের ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন চাই। সঙ্গে সঙ্গে এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে ওই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার শপথ নিতে হবে আজই।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কেবল শেখ মুজিবের দেহকেই বুলেটবিদ্ধ করা হয়নি, আঘাত করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর।

তাদের লক্ষ্য ছিল শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করাই নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাংলাদেশটাকেই ধ্বংস করে দেয়া। তাই তো ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় একই বছরের ৩ নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হলো বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর চার জাতীয় নেতাকেও। ’৭১-এর পরাজিত শক্তির প্রতিশোধ গ্রহণের যে প্রক্রিয়া সে সময় অঙ্কুরিত হয়েছিল তারই একটি ভয়ঙ্কর পরিণতি ঘটে ১৫ আগস্টে। ঘাতকরা স্বাধীন রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রা স্থবির করে দিয়েছিল। দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে গলা টিপে উত্থান ঘটে মৌলবাদের তথা পাকিস্তানবাদের। রাতারাতি বাংলাদেশ বেতার হয়ে যায় রেডিও বাংলাদেশ, জয়বাংলা হয়ে যায় পাকিস্তান জিন্দাবাদ অনুকরণে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’। ১৫ আগস্টের দোসররা আজও সক্রিয়। আজ ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট। জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ও তাঁর পুরো পরিবার এখনো সেই ১৫ আগস্টের দোসরদের কাছ থেকে নিয়মিত হত্যার হুমকি পাচ্ছেন। শুধু একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাই নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কখনো নিজ বাসভবনে, কখনো জনসভায় আবার কখনো তার গাড়ির বহরে। এভাবেই বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল ঘাতকচক্র। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমত ও জনগণের আশীর্বাদে এখনো তিনি বহাল তবিয়তে দেশ ও জনগণের সেবা করে চলেছেন।

বায়ান্ন থেকে একাত্তর। বাঙালির মুক্তির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্বের একমাত্র নেতা দেশ স্বাধীন করার আগেই যাকে ৭ কোটি মানুষ বসিয়েছিল জাতির পিতার আসনে। বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন, তা থেকে এদেশের মানুষকে বিচ্ছিন্ন করতেই ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। জাতির জনককে যারা হত্যা করেছিল, আজকের এই দিনে জাতি ঘৃণাভরে তাদের প্রত্যাখ্যান করছে।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস নতুন প্রজš§ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবে এবং দেশপ্রেম ও সততা দিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখবে। নতুন প্রজšে§র প্রতি আহ্বান, সত্যকে জানো, সত্য পথে চলো, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর সুযোগ্যকন্যা কৃষকরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে ব্রতী হও। এ ব্রত নিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি। ফলস্বরূপ দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। দেশ আজ স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জš§শতবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি লগ্নে সবাইকে আহ্বান জানাই মনেপ্রাণে কাজে-কর্মে তাঁর আদর্শকে অনুসরণ করার। বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে দেশপ্রেম, সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত একটি দেশ গড়তে হবে। তবেই জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে এবং তাঁর রক্তের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ হবে। এদিনে জাতির পিতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

লেখক: উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

সূত্রঃ মানবকণ্ঠ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।