ঢাকাFriday , 10 January 2020
  1. Engineering
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া ও দূর্যোগ
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন
  9. কবিতা
  10. কুরআন/সূরা
  11. কৃষি
  12. কোভিড-১৯
  13. খেলাধুলা
  14. গনমাধ্যম
  15. জব
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগ সম্পর্কিত তথ্য

Link Copied!

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিদিন :
করোনা – কোভিড-১৯ এক নতুন রোগ যা আপনার ফুসফুস এবং শ্বাসনালীর ক্ষতি করতে সক্ষম। করোনা ভাইরাস নামক ভাইরাসের কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীন এর হুবেই প্রদেশের উহান শহরে এ রোগ প্রথম দেখা গিয়েছে।

এ রোগটি সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাসযন্ত্রের রোগের লক্ষণের ন্যায় শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, কাশি এবং সহজে হাঁপিয়ে যাওয়া। রোগের সংক্রমণের মাত্রা বেশি হলে নিউমোনিয়া, সিভিয়ার একিউট রেসিপিটরি সিন্ড্রোম, কিডনীর কাজ করা বন্ধ হয়ে যাওয়া এমনকি মৃত্যু ঘটাতে পারে।

এ রোগের সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত সাবান/এলকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, হাঁচি বা কাশির সময় নাক ও মুখ ঢেকে ফেলা, ডিম ও মাংস অধিক সময় ধরে সিদ্ধ করে রান্না করা এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগের লক্ষণ যেমন হাঁচি কাশি আছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে ।

কিভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ায় কোভিড-১৯
সংক্রমণঃ
করোনায় আক্রান্ত একজন মানুষ সক্রিয়ভাবে এই রোগ অন্যের মাঝে ছড়ায়। এজন্য বিশেষজ্ঞরা নির্দেশ দিয়ে থাকেন অসুস্থ রোগীকে সুস্থ মানুষের সংস্পর্শ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে যেন হাসপাতাল অথবা বাড়িতে রাখা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা সুস্থ হয় এবং অন্যের মাঝে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কামুক্ত না হয়।

আক্রান্ত কারো সাথে নিবিড় সংস্পর্শে আসলে
করোনা ভাইরাস অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পরে। আক্রান্ত কারো সাথে নিবিড় সংস্পর্শে আসলে এটি ঘটতে পারে।

সংক্রমিত স্থান বা বস্তু ছুঁলে বা তার সংস্পর্শে এলে
কোন ব্যক্তি, ভাইরাস আছে এমন কোন স্থান বা বস্তু ছুঁলে বা তার সংস্পর্শে এলে এবং এরপর নিজের মুখ, নাক বা চোখ ছুঁলে তার কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

আক্রান্ত ব্যক্তির কফ বা হাঁচি-কাশি থেকে নিঃসরিত তরল থেকে
করোনা ভাইরাস অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পরে। আক্রান্ত ব্যক্তির কফ বা হাঁচি-কাশি থেকে নিঃসরিত তরলের সংস্পর্শে আসলে এটি ঘটতে পারে।

কোভিড-১৯ এর লক্ষণ/ উপসর্গ কি কি?
কোভিড-১৯ এর লক্ষণ/ উপসর্গ
কোভিড-১৯ হয়েছে কিনা বুঝতে হলে সাধারণত জ্বর, ক্লান্তিময় ভাব এবং শুকনা কাঁশি উপসর্গ গুলো ধর্তব্যের মধ্যে আনতে হবে। কিছু রোগীদের মাঝে গায়ে ব্যথা, শ্বাসনালী সংক্রমন, সর্দি, গলা ব্যথা, ডায়ারিয়াও দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গগুলো শুরুতে হালকা ভাবে শুরু হয়ে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে আরো বাড়তে থাকে। এমনও দেখা যায় যে সংক্রমিত হওয়ার ২ থেকে ১৪ দিন পরেও এই উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে ।

জ্বর
তিব্র জ্বর – বুকে ও পিঠে স্পর্শ করলেই গরমভাব টের পাওয়া যাবে (থার্মমিটার দিয়ে মাপতে হবে না)। ২ থেকে ১০ দিনের মধ্য এই জ্বর জ্বর বোধ হওয়াই স্বাভাবিক। জ্বর জ্বর বোধ হওয়া কোভিড-১৯ এর বিভিন্ন উপসর্গের একটি।

কাঁশি
সারাক্ষণ কাঁশি – এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনেকবার কাঁশি হতে থাকা, এমনকি সারাদিন-রাত ধরে কাঁশতেই থাকা। এমন যদি হয় কারো আগে থেকেই কাঁশি থাকে তাহলে সেই কাঁশির মাত্রা আরো খারাপ ভাবে বেড়ে যাওয়া।

শ্বাসকষ্ট
শ্বাস নিতে কষ্টবোধ হওয়া – কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এমন ৬ জনের মধ্যে ১ জন খুব তাড়াতাড়ি ভীষনভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্টে ভুগেন।

নিজ বাসায় থাকুন এবং ডাক্তারের সাহায্যে নিন: উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আপনি যদি মনে করেন, আপনি কোভিড -১৯ রোগে আক্রান্ত এবং আপনার জ্বর জ্বর বোধ হচ্ছে, কাঁশি হচ্ছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তাহলে স্বাস্হ্যসেবা পাওয়ার জন্য দ্রুত স্বাস্থ্যকর্মীকে ফোন করুন।

কিভাবে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন?
প্রতিরোধ
ও পরামর্শ
এখন পর্যন্ত এমন কোন টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি যা দিয়ে করোনা ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব ।এই অসুস্থতা থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় হল এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত না হওয়া । আমাদের উচিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্থানীয় জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সাম্প্রতিক তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকা।

ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন
সাবান এবং পানি অথবা অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ডরাব দিয়ে ভালোভাবে ২০ সেকেন্ড ধরে নিয়মিত নিজের হাত পরিষ্কার করুন ।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন
যদি কেউ কাশি অথবা হাঁচিরত অবস্থায় থাকে তাহলে তার থেকে সর্বনিম্ন ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখুন। মনে রাখবেন যত কাছে থাকবেন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা তত বেশি থাকবে।

নিজের মুখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন
আমাদের হাত অনেক কিছু স্পর্শ করে বলে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভবনা থাকে। তাই হাত থেকে ভাইরাস আপনার চোখ, নাক অথবা মুখে চলে যেতে পারে এবং আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে।

শ্বাস প্রশ্বাসের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
হাঁচি অথবা কাশির সময় মুখ এবং নাক টিস্যু অথবা কনুই এর ভাঁজে ঢেকে রাখার মত ভালো শ্বাস প্রশ্বাসের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন।

অন্যদের বাঁচাতে নিম্নের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুন।
অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন – অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য বাহিরে যাওয়া ব্যতীত বাড়িতে থাকুন।
আপনার নাক ও মুখ ঢেকে রাখুন – হাঁচি / কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু দিয়ে আপনার নাক ও মুখ ঢেকে রাখুন (ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন)। টিস্যু না থাকলে আপনার কনুই এর বিপরীত পাশ দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকুন।
অসুস্থ হলে ফেইস মাস্ক পড়ুন – অসুস্থ হলে অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসবেন এরূপ স্থানে (অন্য মানুষ থাকবে এমন ঘর বা যানবাহনে) ও হাসপাতালে প্রবেশের পূর্বে মাস্ক পরিধান করেন।
ঘন ঘন স্পর্শ করা হয় এমন স্থান ও বস্তু দৈনিক পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন – ঘন ঘন স্পর্শ করা হয় এমন স্থান ও বস্তু যেমনঃ মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, লাইটের সুইচ, টেবিলের উপরিভাগ, বিভিন্ন বস্তুর হাতল, ডেস্ক, টয়লেট, পানির কল এবং বেসিন ইত্যাদি প্রতিদিন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন।
ঘন ঘন ময়লা হয় এরূপ স্থান জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখুন – ঘন ঘন ময়লা হয় এরূপ স্থান ডিটারজেন্ট অথবা সাবান ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করে জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।
নিজ এলাকার কোভিড-১৯পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত থাকুন – আপনার এলাকার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য গণস্বাস্থ্য কর্মীর নিকট হতে সংগ্রহ করুন।
নির্দিষ্ট পলিথিন দেওয়া ময়লার ঝুড়ি – অসুস্থ ব্যক্তির জন্য সম্ভব হলে পলিথিন দেওয়া ময়লার ঝুড়ি নির্দিষ্ট করে দিবেন। ময়লা সরানো এবং ফেলে দেওয়ার সময় গ্লাভস ব্যবহার করবেন।

হাত ধোয়ার
ধাপসমূহ

হাতে সাবান নিন

দুই হাত ভালো ভাবে ঘষুন

আঙ্গুলের ফাঁকা স্থান যেন বাদ না পরে

হাতের উপরের অংশ ধুতে ভুলবেন না

পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন

কব্জির দিকে খেয়াল রাখুন
সাবধান থাকুন। সুরক্ষিত থাকুন।
করোনা ভাইরাস এর চিকিৎসা
এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই। এরপরেও, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসাসেবা নেয়া উচিত। গুরুতর রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। বেশীরভাগ রোগী সঠিক চিকিৎসা এবং যত্নে সুস্থ হয়ে উঠে।

অ্যান্টিবায়োটিক এক্ষেত্রে সাহায্য করে না, যেহেতু তা ভাইরাসের বিরুধ্যে কাজ করতে পারে না। বর্তমান চিকিৎসা রোগের উপসর্গ উপশম করার চেষ্টা করে যখন রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসেরবিরুধ্যে লড়াই করে। রোগীকে আইসোলেসন এ থাকতে হবে, অন্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে যতদিন না সুস্থ হন।

নিজের সুরক্ষা
আপনার যদি উপসর্গগুলো হাল্কা ভাবে দেখা দেই, আপনার সুস্থ হওয়া পর্যন্ত ঘরে থাকা জরুরি। আপনার উপসর্গ উপশম হবে যদি আপনিঃ

যথেষ্ট বিশ্রাম নেন
উষ্ণ থাকেন
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন
গরম পানি দিয়ে গোছল ও গলা ব্যথার জন্য গড়গড়া করেন
চিকিৎসা
আপনার যদি জ্বর, কাশি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়, দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে আগে থেকে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং আপনি যদি সম্প্রতি দেশের বাইরে গিয়ে থাকেন বা দেশের বাইরে গিয়েছে এমন কারও সংস্পর্শে এসে থাকেন তা জানান।

করণীয় ও করবেন না
নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন
এইসময় সবচেয়ে যে কাজটি করলে ভাল হয় সেটা হলো, দৈনন্দিন কাজগুলোকে নিয়মের মধ্যে এনে আয়ত্ত করে ফেলা। নিজের নিরাপত্তার জন্য কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নিয়মিত হাত ধোয়া, কারো কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকা, কাঁশি বা হাঁচি হলে রুমাল দিয়ে ঢেকে অথবা কনুই দিয়ে ঢেকে হাঁচি দেওয়া, ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা । এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিজেকে প্রতিহত করার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হলো বাসার বাহিরে বের না হওয়া, ঘরে থাকা।  নিজে সচেতন হোন অন্যকে সচেতন করুন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।