তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিদিন :
পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষীপুর জেলা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া ২ হাজার পরিবারের জন্য নির্মিত কবরস্থান ও মসজিদের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ও বক্তব্য প্রদান করেন। আরোও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সহ অন্যান্য মহোদয়গন।
তিনি বলেন, দেশ মাদকমুক্ত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত গড়তে এবং দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তায় মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। ধর্মীয় সঠিক শিক্ষা পেলে কখনো কোন মানুষ গোমরাহীর দিকে যেতে পারেনা। আমাদের দেশে ধর্মীয় শিক্ষার নামে শুধু আলিফ বা তা শিখানো হয়। ধর্মীয় শিক্ষা মানে শুধু আরবী শিক্ষা না, সবাইকে বাংলা, আরবী ও ইংরেজী শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে শিশুরা সঠিক শিক্ষা পাবে, তাদের মধ্যে গোমরাহী তৈরী হবেনা। বাংলা ভাষায় সঠিক অর্থ জানা সহজ হয়।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী যে শুধু আইশৃংঙ্খলার কাজ করার পাশাপাশি , পুলিশ বাহিনী সমাজের মানুষের জন্য মাববিক নানামুখী কাজ করে থাকে সেটির বড় উদাহারণ হচ্ছে নদী ভাঙা মানুষের জন্য আজকের এই কবরস্থান তৈরী করা। এই স্থানে হইতো অনেক অর্থশালী লোক রয়েছেন, কিন্তু কেউ এই কাজে এগিয়ে আসেননি এক মাত্র পুলিশের লোকজনই মাববিক কাজে এগিয়ে এসেছেন৷ তিনি বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পুনাক সভা নেত্রীর বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয়। মাববিক দিক বিবেচনা করে মেঘনা নদীর ভাঙনের শিকার দুই হাজার পরিবারের জন্য করবস্থান তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। জেলা পুলিশের মাধ্যমে সাড়ে ২৯ শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে সীমানা প্রাচীর তুলে কবরস্থান ও মসজিদ নির্মাণ করা হয়। গভীর নলকূপ, মরদেহ ধোয়ার ঘর ও শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে এবং তাদের ও স্থানীয়দের জন্য আজকে এটি উন্মক্ত করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব ও দুর্দান্ত সাহসের ফলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা ২০৪১ সালে উন্নত দেশের উপযোগী করে পুলিশ বাহীনি গড়তে কাজ শুরু করছি। গত বছর আমরা সরকারের নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধভাবে করোনাকে মোকাবিলা করেছি, চলতি বছরেও আমরা একই ভাবে করোনার মোকাবিলা করতে কাজ করছি। আমি বলতে পারি, পশ্চিমা বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খেয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশে আধুনিক সব রিসোর্স না থাকা সত্ত্বেও সরকারের নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি, সেটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। মানবিক পুলিশ বাহিনী করোনা কালে অসহায় মানুষের কল্যাণে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছে।

