বগুড়াঃ
বগুড়ার গাবতলীতে জামাল সাকিদারের (৫২) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গুপ্তচর পদ্ধতি ও অধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে জব্বার সাকিদার ও মজিদ সাকিদার নামের দুই সহদোরকে রবিবার (১৭ অক্টোবর) গ্রেফতার করা হয়৷ গ্রেফতারকৃত জব্বার ও মজিদ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ধোড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত কালু সাকিদারের ছেলে। হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে দুই ভাই সোমবার (১৮ অক্টোবর) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গাবতলী থানা পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত জামাল পেশায় লেবারির পাশাপাশি ঘটকের কাজও করতেন। তাকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার দুই ভাই জব্বার ও মজিদের বিয়ের ঘটকালিও জামাল করেছিলেন। এরমধ্যে বড় ভাই জব্বারের একাধিক বিয়ে ভেঙে যায়। সম্প্রতি ছোট ভাই মজিদেরও বিয়ে ভেঙে গেলে তাদের সন্দেহ হয় ঘটক জামাল বিয়েগুলো ভেঙে দিচ্ছেন। এ ক্ষোভে দুই ভাই মিলে ঘটককে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ী গত মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সোলাকুরিয়া ভাঙা ব্রিজের কাছে গ্রেফতার দুই ভাই সহ ৩-৪ জন মিলে জামাল সাকিদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটে ও মাথায় আঘাত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) এ ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ অক্টোবর জামাল সাকিদার মারা যান। এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর জামাল সাকিদারের ছেলে রুবেল সাকিদার অজ্ঞাত আসামিদের নামে গাবতলী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন৷
গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দুই ভাই জানায় যে, একের পর এক সংসার ভেঙে যাওয়ার তারা জামালকে সন্দেহ করেন। শুধুমাত্র এ কারণে আরও কয়েকজন সহ দুইভাই পরিকল্পনা করে জামালকে খুন করে।।

