শাহিন খান,(পটুয়াখালী)
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সেতু চালুর মাধ্যমে যোগাযোগে সুচিত হলো নতুন অধ্যায়। বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে আর ফেরির দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। আগে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে সময় লাগতো প্রায় ৬-৮ ঘণ্টা। এখন পায়রা সেতু চালুর ফলে সময় লাগে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা। ফেরির বিড়ম্বনা না থাকায় সাগরকন্যা কুয়াকাটায় আগের চেয়ে পর্যটকদের আকর্ষণ বেড়েছে বলে জানান কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায় কুয়াকাটার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেড়েছে কর্মচাঞ্চল্য। রাখাইন মার্কেট ও শুটকি মার্কেট এর ব্যবসায়ী, সমুদ্রের বোট রাইডার, ফটোগ্রাফারদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে স্বপ্ন পূরনের আনন্দ।
রাখাইন মার্কেটের ব্যবসায়ী হারুন জানান, পায়রা সেতু ছিল আমাদের এক স্বপ্নের নাম। সেই স্বপ্ন পুরণ হওয়ায় আমারা আনন্দিত। শামুক ঝিনুক ব্যবসায়ী রতন মিয়া বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটক আসলে আমরা ভাল থাকি। বর্তমানে পর্যটকদের ভালই উপস্থিতি দেখা যায়।
কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনির শরীফ প্রতিদিন সংবাদকে জানান, ফেরিবিহিন সড়ক যাতায়াত ব্যবস্থা চালু হওয়ায় কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। আশা করি কুয়াকাটার সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীরা এই সিজনে বিগত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে ইনশাআল্লাহ। দেশি বিদেশী সকল পর্যটকদের উদ্দেশ্যে মনির শরীফ বলেন সাগরকন্যা কুয়াকাটায় আপনারা নির্ভিঘ্নে ঘুরতে আসুন। আপনাদের সেবা প্রদানের জন্য কুয়াকাটার স্থানীয়রা প্রস্তুত।
পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন পায়রা সেতু উম্মোচনের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বপ্ন পুরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কুয়াকাটার সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। দক্ষিণ বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।
কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যপক প্রভাব পরবে ইনশাআল্লাহ।” এই সেতুর ফলে কুয়াকাটা পর্যটন সৈকতের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ তৈরি হল। কাউকে সড়ক পথে আর কোন বাধার মুখে পড়তে হবে না। ফেরিতে যে সময় ব্যয় হতো, যে যানজট হতো, তা থেকে মানুষ মুক্তি পেলো। এই যোগাযোগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো বলে আমি মনে করি।

