নিউজ ডেস্ক : গত ১০ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা সাঘাটা থানায় হাটভরতখালী নামক স্হানে মোটরসাইকেল এর সাথে শ্রী বিকাশ সাহা (৮ম) শ্রেনীর ছাত্রের সাইকেল এক্সিডেন্টে গুরুতর আহতকে গাইবান্ধা সাঘাটা হাসপাতাল থেকে বগুড়া জিয়া মেডিকেলে প্রেরন করা হয়। এখনো মোটরসাইকেল আরোহীকে সনাক্ত করা হয় নি? সনাক্ত করা হয় নি কিভাবে এক্সিডেন্ট টা হয়েছে? ঘটনার পেছনেও ঘটনা থাকে যা এখনো ধোঁয়াশায় রয়ে গেছে। কে ছিলো মোটরসাইকেল আরোহী? কি ঘটেছিলো সেখানে? এটা কি এ্যাক্সিডেন্ট ছিলো? ঘটনার পর মোটরসাইকেল আরোহী কি হয়েছিলো? গুরুতর আহত বিকাশকে সাঘাটা হাসপাতাল অবদি কি সে এনেছিলো? ঘটনার সময় মোটরসাইকেল আরোহী মুখচেনা লোক (২/৩)জন ছিলো এবং তারা লোকজন আসায় পলায়ন করে।
বিকাশের স্বজনদের দাবি, বগুড়া জিয়া মেডিকেলে আসার পর ২০০ টাকার স্হলে ১৫০ টাকা দিলে ধলু অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেওয়ার সাথে সাথেই কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে রোগীর মুখে সাদা ফনা ও রক্ত এসে মারা যায়। তারা দরিদ্র, এর বিচার দাবী করেন। ধলু পাহারাদার কর্তৃক সহায়তায় ও অন্য ওয়ার্ডবয় ও ক্লিনানের সহায়তায় পালিয়ে যায়। এটা কি এ্যাক্সিডেন্ট? নাকি ভয়েই ধলু পালায়ন করে। অপরদিকে বিকাশের পরিবার সাংবাদিকদের বিভিন্ন স্বাক্ষাৎকারে বলে তারা প্রভাবশালী ইত্যাদি নানামুখী বিষয়। আসলে প্রভাবশালী টা কে?
জনগনের আস্হার প্রতিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব ঢাকা থেকে ক্লিনার ধলুকে গ্রেফতার করে গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) । প্রেস বিফ্রিং এ জানানো হয়, ধলু বগুড়ায় অস্হায়ী নিয়োগে ক্লিনার এর কাজ করে। কাজের বাকিঁ সময় দালাদি করে রোগী ভর্তি করে অর্থ উপার্জন করে। ইতিপূর্বেও সে অসৎ কর্মকান্ডে গ্রেফতার ও মোবাইল কোটে ধরা পরেছিলো। বিকাশ সাহার এ ঘটনার পর সে পালিয়ে ঢাকা হইতে অন্যত্র যাবার পথেই আটক হয়।
সামনে আসা প্রশ্নের জবাব মিললেও কি ন্যায় প্রতিষ্ঠা কতটুকু যুক্তিযুক্ত যা সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
মোটরসাইকেল আরোহী কে ছিলেন ও ঘটনা কি ঘটেছিলে গাইবান্ধায়? মেডিকেল গুলোতে এরপরো কি বন্ধ হবে ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার ও দালালদের চক্র ও বকশিস বানিজ্য? নিরাপদ চিকিৎসা ও সময় উপযোগি সেবা কি পাবে সাধারণ জনতা? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ।

