ঢাকাMonday , 15 November 2021
  1. Engineering
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া ও দূর্যোগ
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন
  9. কবিতা
  10. কুরআন/সূরা
  11. কৃষি
  12. কোভিড-১৯
  13. খেলাধুলা
  14. গনমাধ্যম
  15. জব
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল সিনথিয়াঃ

bd-tjprotidin
November 15, 2021 8:57 am
Link Copied!

বাংলাদেশ, নরসিংদী  : রবিবার ভোরের দিকে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বাবা হুমায়ুন কবির (৪৮) মারা গেছেন। শোকে বিহ্বল স্বজনেরা নিচ্ছেন লাশ দাফনের প্রস্তুতি। এমন অবস্থায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে সিনথিয়া কবির নামের এক শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলো। পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে বাবার লাশ দাফনে অংশ নেয় সে।নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় আজ রোববার এ ঘটনা ঘটে। সিনথিয়া কবির পলাশের ঘোড়াশালের জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী।

সিনথিয়া কবিরের পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে পলাশের ডা. নজরুল বিন নূর মহসিন বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে। আজ সকাল ১০টার আগে চোখ মুছতে মুছতে ওই কেন্দ্রে যায় সে। সহপাঠী ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রথম দিনের পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ নেয় সে।

সিনথিয়ার পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, পলাশের ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুটিরপাড়া গ্রামের মৃত মোখলেছ সরদারের ছেলে হুমায়ুন কবির (৪৮)। তাঁর মেয়ে সিনথিয়া কবিরের আজ এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। হঠাৎ ভোরের দিকে হুমায়ুনের মৃত্যু হয়। বাড়িজুড়ে শোকের আবহ, চলছে লাশ দাফনের প্রস্তুতি। বাবার মৃত্যুর পর সিনথিয়া ভেঙে পড়লেও স্বজনদের কথায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায় সে।

পরীক্ষা শেষে সিনথিয়া বাড়ি ফেরার পর বেলা আড়াইটার দিকে কো-অপারেটিভ স্কুল মাঠে বাবা হুমায়ুন কবিরের জানাজা হয়। জানাজায় হুমায়ুন কবিরের আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পাড়া প্রতিবেশী ও আশপাশের এলাকার কয়েক শ মানুষ অংশ নেন। পরে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

কেন্দ্রসচিব রিনা নাসরিন বলেন, ‘সিনথিয়ার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা সকালেই জানতে পেরেছিলাম। সবার সঙ্গে বসে পরীক্ষা দিলে তার জন্য ভালো হবে ভেবে তার জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম সে সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিক। সে এক হাতে রুমাল দিয়ে বারবার চোখ মুছছিল। আর অন্য হাতে পরীক্ষার খাতায় লিখেছে।’

পরীক্ষা শেষে সিনথিয়া বলল, ‘বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। বাবা চাইতেন আমি যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হই। তাই এমন অবস্থায়ও আমি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। বাবার আত্মাকে আমি কষ্ট দিতে চাই না।’

পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আফসানা চৌধুরী বলেন, ‘বাবাকে হারানো যে কারও জন্য খুবই কষ্টদায়ক। তারপরও এসএসসি পরীক্ষার্থী সিনথিয়া বাবা হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আমরাও তার পরীক্ষার সময় যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

(তথ্যসুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো)

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।