বগুড়া, কাহালুঃ
বগুড়ার কাহালু উপজেলার কালাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৭০১২ ভোটের মধ্যে নৌকা সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছে ১১২ টি ভোট! বিষয়টি ফেসবুক গণমাধ্যমে জানা যায়। বিজয়টি কতটুকু সত্য?
গনমাধ্যমে ও নির্বাচনী পাওয়া তথ্য সূত্রে, রোববার বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অ্যাডভোকেট আজাহার আলীর প্রাপ্ত ১১২ ভোটের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (থিয়ট) ৪ ভোট, ২ নম্বর ওয়ার্ডে (রাজবাটী) ২৬ ভোট, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মাঝপাড়া) ১৪ ভোট, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে (পিলকুঞ্জ মাদরাসা) ১ ভোট, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (পিলকুঞ্জ বিদ্যালয়) ৫ ভোট পেয়েছেন।
এ ছাড়াও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে (কণিপাড়া) ১১ ভোট, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে (তিনদিঘী) ৩৭ ভোট, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে (কাউড়া) ৩ ভোট, পাঁচগ্রাম কেন্দ্র থেকে ১১ ভোট পেয়েছেন তিনি।
এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে জুবায়দুর রহমান সবুজ ৪ হাজার ৪৭৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা জহুরুল ইসলাম চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৬টি।
দলীয় প্রতিকে নৌকা প্রার্থী পেলো ১১২ টি ভোট। বিষয়টি গ্রাম ভিত্তিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্র গুলোতে তাহলে কয়টা করে ভোট পেয়েছে? প্রশ্ন থেকে যায়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহয়োগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দৃষ্টি ভঙ্গি কেমন তা পরিবর্তিতে দলীয় সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।
যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিকধারী পায় ১১২ ভোট৷ বিষয়টি কতটুকু যুক্তিযুক্ত ও সাংগঠনিক নিয়মশৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্য তা বলার অবকাশ রাখে না। প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছে সেখানে বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ এর সুদৃষ্টিপাত।
শুধু একটি ওয়ার্ড,ইউপি, উপজেলা নয় – বগুড়ায় প্রায় সব জায়গায় এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। কর্মী মুল্যায়নে সমস্যা,নাকি যোগ্য নেতাদের লিডারশীপ গত সমস্যা? নাকি বিরোধী দলীয় উসকানিতে হিতাহিত জ্ঞানশুন্যতায় নিজ দলীয় কুন্দল ও পারিশ্রমিক বা সুবিধাবাদিতায় নৌকার পরাজয় ঘটে চলেছে। নাকি অন্য কিছু? রাজনৈতিক শৃঙ্খলা বজায়ে বিষয়গুলো ভবিষ্যতের জন্য সমিচিন বিষয় নয়। দ্রুত সমস্যা নিরুপন ও সমাধান একান্ত জরুরী। ( দৃষ্টিপাত)

