নাগরিক জীবনে ব্যক্তির আচরণ, নিজেকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতার সঙ্গে ঘুমের যোগসূত্র রয়েছে। ঠিকঠাক ঘুম না হলে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। ঘুম না হওয়ার নেতিবাচক প্রভাবে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনেও। তাই সুস্বাস্থ্য পেতে পর্যাপ্ত ঘুমের খুব প্রয়োজন।
মুশকিলটা হচ্ছে একেকজনের ঘুমানোর অভ্যাস একেক রকম। কেউ বাম দিকে ফিরে ঘুমতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, কেউ আবার ডান দিকে। কারও চিৎ হয়ে ঘুম আবার অনেকেই আছেন গোটা খাটে এলোমেলো হয়ে ঘুমান। বাঁ দিকে ফিরে ঘুমনোর অভ্যাসে কিছু উপকারিতা আছে।
সুস্বাস্থ্য পেতে পর্যাপ্ত ঘুমের খুব প্রয়োজন। বাঁ দিকে ফিরে ঘুমনোর কিছু উপকারিতা আছে
অগ্ন্যাশয় এবং পাকস্থলী শরীরের বাম দিকে থাকে। বাঁ পাশ ফিরে ঘুমালে অগ্ন্যাশয় দ্বারা ক্ষরিত হজমে সাহায্যকারী হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে হজম, মানে পাচনক্রিয়া ভালো হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও এই পদ্ধতিতে ঘুমালে উপকার পাবেন।
বাঁ পাশ ফিরে ঘুমালে হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, ফলে শরীর সুস্থ থাকে। শুধু তাই নয়, রক্তবাহিকাগুলোর কার্যকারিতাও বেড়ে যায়। শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো বেরিয়ে আসে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাঁ দিকে ফিরে ঘুমানো বেশ উপকারী। এর ফলে জরায়ুর ওপর কোনো চাপ পড়ে না এবং রক্ত চলাচলও স্বাভাবিক থাকে। এই অবস্থানে ঘুমলে পিঠের ব্যথায়ও আরাম পাওয়া যায়।
যাদের অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া মতো জটিল অসুখ রয়েছে, তারা সাধারণত নাক ডাকেন ঘুমরে মধ্যে। এ রোগ থাকলে হৃদরোগে ঝুঁকি বাড়ে, ডায়াবেটিসও হতে পারে। বাঁ পাশ ফিরে ঘুমালে এই রোগের আশঙ্কা কমবে। এ ছাড়া অ্যালজাইমার্স রোগেও ঝুঁকি কমে।
সুত্রঃ ইত্তেফাকউত্তর

