আপনি মেয়েটার একটা-দুইটা ভিডিও কিংবা দু’চারটে ইন্টারভিউ দেখেই বলে ফেললেন, মেয়েটা ন্যাকা, বোকা প্রিতম ঠকছে এরে বিয়ে করে। আর যে মানুষটা পাঁচ বছর যাবত মেয়েটাকে দেখছে সে কি মোটেই এসবের কিছু টের পায়নি!
আপনারা যদি এতোদূর থেকে অল্পতেই এতো কিছু বুঝে যান তাহলে ছেলেটাও নিশ্চয়ই এতো সময় ধরে, এতো কাছাকাছি থেকে খুব ভালো ভাবেই চিনেছে মেয়েটা কোন ধাঁচের! সব মেয়েরাই যে বিয়ের আগেই পাক্কা গৃহিণী টাইপের হবে বিষয়টা তো তেমন নয়।
যারা হয় তারা অবশ্যই যোগ্য কিন্তু না হওয়াটাও দোষের না।
আর তাছাড়া যদি মেয়েটার ন্যাকা বা বোকা হওয়ায় ছেলেটার কোনো সমস্যা না থাকে, সে তারে নিয়েই সুখে থাকতে পারে। তবে সেখানে তুমি-আমি কথা বলার কে ভাই? তারা তো তোমারটা খায়ও না, পড়েও না যে তোমার মতের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিয়ে করতে হবে তাই-না! তুমিও নিশ্চয়ই বিয়ে করার সময় তাদের মত নিয়ে বিয়ে করবে না।
তারা বিয়ে করছে কোনো পাপ করেনি, যে তাদের নিয়ে গোল মিটিং বসাতে হবে, সমালোচনা করতে হবে। তাছাড়া তোমাদের মতো ওরা প্রেম করে একে-অপরকে ছেড়ে যায়নি মাঝপথে এসে। বরং সুখেদুঃখে চিরদিন পাশে থাকার জন্য নিজেদের সম্পর্ককে সুন্দর একটা পূর্ণতা দিয়েছে। যা কেবল সুন্দর মানসিকতার মানুষদের দিয়েই সম্ভব।
যদিওবা তোমার বাজে মন্তব্যে তাদের কিছুই যায়-আসে না। কিন্তু কথা হচ্ছে এই দু’একটা বাজে মন্তব্য করে তোমারই বা লাভ কি বলো! অযথা মানুষের সামনে তোমার লুকিয়ে রাখা নোংরা মানসিকতা উন্মোচিত হচ্ছে।
অন্যের ভালোটা না হয় নাই-বা বুঝলে কিন্তু নিজের ভালোটা তো বুঝতে শেখো।

