এবারের বিশ্বকাপে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত করা হয়েছে। যা ৯২ বছরের ইতিহাসে কখনো করা হয়নি। এরকম দৃশ্য কখনোই দেখেনি বিশ্ব। নতুন এক দৃশ্যের সাক্ষী গোটা মধ্যপ্রাচ্য। ভাষা-শিক্ষা কিংবা সংস্কৃতির মিল থাকায় আরব ভূখণ্ড পৃথিবীর মধ্যে নিজেদের আলাদাভাবে চেনাতে সক্ষম হয়েছে। এবার সেই আরব মরুতে চলছে ফুটবল বিশ্বকাপের ঝংকার
সেই ১৯৩০ সাল থেকে প্রতি চার বছর পর পর মাঠে গড়ায় বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। এ বছরের আগে পেরিয়ে গেছে ২১টি আসর। কিন্তু এবারের আসরটি একেবারেই ভিন্ন। বদলে গেছে ইতিহাস। খরচ কিংবা আধুনিকায়ন সব দিক থেকেই ২০২২ বিশ্বকাপ আলাদা। এসবের ভিড়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে পবিত্র কুরআনের কথা।
রবিবার (২০ নভেম্বর) রাত দশটায় শুরু হবে উদ্বোধনী ম্যাচ। এর আগে শুরু হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কাতারের আল বায়ত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হয় বিশ্বকাপের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান। সেখানেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বিশ বছর বয়সী ঘানিম আল মুফতি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই তরুণ বিশ্বকাপে ফিফার অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও নিযুক্ত আছেন।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে আলোর রোশনাইয়ে সাজানো হয়েছে কাতারের পার্ল আইল্যান্ড। এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড বিটিএসের গায়ক জাংকুক ও কাতারের ফাহাদ আল–কুবাইশি বিশ্বকাপের অফিশিয়াল গান ‘ড্রিমারস’–এ পারফর্ম করবেন।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে শীতকালে এটাই প্রথম আসর। আরব বিশ্বেও এই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ।৬০ হাজার আসনবিশিষ্ট আল বায়ত স্টেডিয়ামে ছড়ানো হবে আলোর রোশনাই। চোখ ধাঁধানো আতশবাজির জন্য উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানটি স্থানীয় সময় রাতে করা হচ্ছে।
আল বায়ত স্টেডিয়ামে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দর্শক। এর মধ্যে সিংহভাগই কাতার ও ইকুয়েডরের সমর্থক। স্টেডিয়ামের একাংশ হলুদ এবং অন্য অংশে সাদা রংয়ের ঢেউ। বিশ্বকাপ ট্রফি মাঠে একটি শোকেসের মধ্যে রাখা হয়েছে।

