প্রকাশকঃ মোঃ শাহারুল ইসলাম (শাহীন)
অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে সেই ম্যাচে লিওনেল মেসিদের কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, সেটা বলাই যায়। ম্যাচটি যে কঠিন হবে, এক বাক্যেই মেনে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরোও। তবে এই পরীক্ষায় উতরে যাওয়ার মতো সামর্থ্যও দলের আছে বলে মনে করেন টটেনহামের তারকা।
বিশ্বকাপে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে আর্জেন্টিনা। শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়া-বাধা জয় করার পর কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ ডাচ্রা। লুই ফন গালের অধীন বিশ্বকাপেও আছে দারুণ ছন্দে।
তিনি দলের প্রত্যেককে আখ্যা দিয়েছেন একেকজন যোদ্ধা হিসেবে, যাঁরা শিরোপা জয়ের জন্য জীবনও দিতে পারেন! আর্জেন্টিনার জন্য যেমন নেদারল্যান্ডস কঠিন প্রতিপক্ষ, তেমনি নেদারল্যান্ডসের জন্যও কঠিন প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা।
এরই মধ্যে স্কালোনির দল তাদের কৌশল নিয়ে ভাবা শুরু করেছে। আর পুরো দলই প্রস্তুত নেদারল্যান্ডসকে মোকাবিলা করতে। ম্যাচ শেষে রোমেরো এমনটাই জানিয়েছেন, ‘নেদারল্যান্ডস কঠিন প্রতিপক্ষ। ডাচ্ ফুটবলারদের সামর্থ্য সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। এরই মধ্যে আমরা কীভাবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলব,
তা নিয়ে ভাবা শুরু করেছি। আমরা ২৬ জন যোদ্ধা। সবাই প্রস্তুত। কোচ সিদ্ধান্ত নেবেন কারা খেলবেন, আমরা সবাই জীবন দিয়ে চেষ্টা করব, সব সময়ের মতো। প্রতিটি দিনের জন্যই আমরা প্রস্তুত।’ বিশ্বকাপের আগে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত ছিল লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা। তবে সেই দলটিই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে বসে।
সেই ম্যাচে হারের পর তো অনেকে বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনার বিদায়ও দেখছিলেন। অপ্রত্যাশিত এই হার পুরো দলকে আরও একতাবদ্ধ করেছে বলেও মত রোমেরোর, ‘কেউ এটা প্রত্যাশা করেনি, তবে এই হার আমাদের মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী করেছে। প্রতিটি ম্যাচই আমরা ফাইনাল ভেবে খেলেছি। এটা বিশ্বকাপ, প্রতিটি দলই জয়ের জন্য মাঠে নামে। ফাইনাল ভেবে খেলায় আমাদের কাজে লেগেছে।’

