বগুড়ায় দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বগুড়ায় দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বগুড়া সদর ক্যাম্পাসে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন বাংলাদেশ বিভিন্ন জাতের পশু পালন বিষয়ে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। হাঁস-মুরগীর ডিম উৎপাদনেও আমাদের দেশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। বগুড়ার মানুষ যাতে উন্নত প্রজাতির পশু ও পাখি লালন-পালনে উদ্বুদ্ধ হয় এবং এর সুফল যেন তারা ভোগ করতে পারে এটাই প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য। প্রাণিসম্পদের এই প্রদর্শনী পশুপালনে বগুড়ার মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা করছি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বগুড়া সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীনেশ সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা খাতুন, ভেটেনারি অফিসার ডাঃ খন্দকার মো. বজলুর রহমান, প্রধান সমন্বয়ক ডাঃ মো. সাইফুল ইসলামসহ প্রমুখ। এরপর বিকেল চারটায় প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সুফিয়ান সফিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক ডাঃ মো. সাজেদুর রহমান, টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সদরের ভেটেনারি সার্জন ডাঃ মো. ওয়াসিম আকরাম, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তুষার আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. আব্দুস সামাদ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান প্রদর্শনীতে বিভিন্ন গবাদিপশুর স্টল, প্রাণিজ খাদ্যের স্টল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং বিভিন্ন প্রাণিজ প্রযুক্তি, প্রাণিজ পণ্যের বিভিন্ন টিকা ও ভ্যাক্সিনসহ মোট ৪৫টি স্টল স্থান পেয়েছে। বগুড়া জেলায় এখন প্রায় ১৩ লক্ষ ২৪ হাজার গরু এবং ৭ লক্ষ ৫ হাজার ছাগল রয়েছে। এই প্রদর্শনীতে উন্নত জাতের গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, গয়াল, ও ভুট্রি গরু নিয়ে উপজেলার প্রান্তিক খামারীরা অংশগ্রহন করেন। এছাড়াও পোষা প্রাণি ও হরেক রকমের পাখির প্রদর্শনী ছিল চোখে পড়ার মত।

