বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তত থাকতে হবে। জামাত-বিএনপি দেশের উন্ময়নের অগ্রযাত্রাকে থমকে দিতে চায়। এদেশে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় না। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে তারা সাধারণ মানুষকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুরিয়ে মেরেছে। তাদের এমন জঘন্যতম ঘটনায় অনেক মানুষই জীবন্ত লাশ হয়ে বেচেঁ রয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে আর কখনও ক্ষমতায় দেখেতে চায় না।
বুধবার (২৩ আগস্ট)বেলা ১২ টায় বগুড়া জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্টের হামলা মূলত একই সুত্রে গাঁথা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মম বুলেটের আঘাতে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাসীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। তারা ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট সারাদেশে ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা নিক্ষেপ করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল। এই দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তাদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন হতে দেননি। তিনি এদেশকে বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে রুপান্তরিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্তর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মেহেদী হাসান রবিন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মন্জুরুল হক মঞ্জু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি একেএম এনামুল বারী টুটুল, মনিরুজ্জামান মনির, গোলাম হোসেন, মামুনুর রশিদ মামুন, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, নাজমুল কাদির শিপন, নুরুল আমিন শিশির, বনি ছদর খুররম, রেজাউল করিম রিয়াদ, নুরুন্নবী সরকার, আরিফুল হক বাপ্পী, মশিউর রহমান মামুন, নাসিমুল বারী নাসিম, আমিনুল ইসলাম আকাশ, আব্দুস সালাম, সিরাজুল ইসলাম রতন, লিটন শেখ, এনামুল হক, খালেকুন্নাহার পলি, এ্যাডভোকেট ফাহিম শাহরিয়ার, রাকিবুল ইসলাম রাজু, আয়নাল হক নয়ন, রশ্মি স্বর্না, ওমর ফারুক ঝিনুক, আব্দুল ওয়াদিদ পাপ্পু, মাসুদ রানা, প্রভাষক মামুন, ফেরদৈস জামান মুকুল, রাসেদ ইসলাম, সোহানুল ইসলাম, মিলন প্রমুখ।

