ঢাকাMonday , 3 June 2024
  1. Engineering
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া ও দূর্যোগ
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন
  9. কবিতা
  10. কুরআন/সূরা
  11. কৃষি
  12. কোভিড-১৯
  13. খেলাধুলা
  14. গনমাধ্যম
  15. জব
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শিশু রাফির মাথা বিচ্ছিন্ন করে বাবা আজিজুল বগুড়ার করতোয়া নদীতে ফেলে দেন

Md R. Mahmud
June 3, 2024 4:18 pm
Link Copied!

রাশেদ ইসলাম,  বগুড়াঃ

বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় ‘শুভেচ্ছা’ হোটেলে হত্যাকাণ্ডের শিকার আশামনির (২০) মরদেহ বাথরুমে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে ছিল। তার এক বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাফির বস্তায় ভরা মাথাবিহীন মরদেহটি রাখা ছিল খাটের নিচে। বর্তমানে করতোয়া নদীতে শিশুটির মাথার খোঁজ করছে পুলিশ। তাকে হত্যার পর বিচ্ছিন্ন মাথা নদীতে ফেলে দেন বাবা আজিজুল হক।

পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে রোববার (২ জুন) বেলা ১১টার দিকে শহরের শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে গলাকাটা মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

এ জোড়া খুনের ঘটনায় আজিজুল হক নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি নিহত নারীর স্বামী এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত। তার বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়ায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিশুটির মাথা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

নিহত আশামনির ভাই শহরের নারুলী এলাকার বাসিন্দা মেহেদি হাসান সনি জানান, সেনাসদস্য আজিজুল হকের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়। দুইমাসের ছুটি নিয়ে আজিজুল কিছুদিন আগে বগুড়ায় আসেন। এরপর বৃহস্পতিবার (৩০ মে) শহরের নারুলি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। পরে বেড়ানোর কথা বলে আজিজুল হক তার বোন ও ভাগনেকে নিয়ে শনিবার (১ জুন) বেরিয়ে পড়েন।

শুভেচ্ছা হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর আজিজুল হক তার স্ত্রী ও এক বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে দোতলার একটি কক্ষে ওঠেন। রাত ১১টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হয়ে যান। পরে আজ বেলা ১১টার দিকে হোটেলের ভাড়া পরিশোধ করতে আসেন। কিন্তু তখন তার সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান না থাকায় সন্দেহ হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে ওই কক্ষ থেকে আজিজুল হকের স্ত্রীর মরদেহ ও শিশুটির বস্তাবন্দি মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে।

শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, সেনাসদস্য আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দাবি, সন্তানের মাথা পাশের করতোয়া নদীতে ফেলে দিয়েছেন। শিশুটির মাথা খোঁজা হচ্ছে।

নিহত আশামনির ভাই মেহেদি হাসান জানান, তার বোনের সঙ্গে ভগ্নিপতি আজিজুল হকের দাম্পত্য কলহ ছিল। তার ধারণা দাম্পত্য কলহের কারণেই তার বোন ও ভাগ্নেকে খুন করা হয়েছে। বিয়ের সময় তারা ভগ্নিপতিকে মোটা অংকের টাকা যৌতুক হিসেবে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও নানা অজুহাতে আজিজুল হক টাকা চাইতেন বলে জানান তিনি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।